Sunday, January 7, 2018
love Story
..তখনটা ছিল খুব ভোর।
আকাশ কালো করে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে। জবাপাতার সবুজী অহংকারী বুকে বৃষ্টির ফোটারা ভেঙেচুড়ে একাকার হয়ে যাচ্ছে।
.
আমি দাড়িয়ে আছি একটি বেগুনী ছাতার নিচে।
আর আমার সামনে মেয়েটি।
ছাতার বাইরে। ঠোঁটগুলো তার মৃদু মৃদু কাঁপছে। এখন এই ঠোঁট কাপার কারণ কি বৃষ্টির শীতলতা নাকি বুকের ভেতরকার জমাট বাদা কান্নার উত্থালপাথাল ঢেউ-তা আমার এখনো পুরোপুরি বোধগম্য হচ্ছে না। আমি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললাম,"তুমি ছাতার নিচে আসো।"
মেয়েটি বললল,"তুমি কি অন্য কাউকে ভালবাসো?"
"না।"
"তাহলে?"
"ঐ ভালবাসা-বাসি আমার দ্বারা আর হবে না।"
"এতটা ঘৃণা করো আমায়!"
"তোমাকে ঘৃণা করার অনুভূতি আজ অব্দি আমার হাইপোথ্যালাম তৈরী করতে পারেনি।"
সে কতকটা আকূল হয়ে বলল,"তুমি তো এমন ছিলে না!"
আমি মুচকি হেসে জবাব দিলাম,"তুমিও তো এমন ছিলে না।"
"আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।"
"সম্ভবত আমিও।"
সে নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি তাাকিয়ে আছি নিচের দিকে,যেন তার দিকে তাকালেই বুকের ভেতর কিছু একটা হয়ে যাবে। আর আমি আরো একবার মরে যাবো।
"তুমি কি বুঝতে পারছো আমি কাঁদছি?"
"হুম।"
"এক সময়কার যে তুমি আমার চোখে-মুখে পড়ন্ত বিকেলের বিষণ্ণতা দেখলেই দিকবিদিক দিশেহারা হয়ে পড়তে সেই তোমারই সামনে আজ আমি কাঁদছি,আর তুমি কিনা...!"
"জানো কি মিহির,"একটা সময়কার সেই 'আমি' আর আজকের 'আমি'র মধ্য দিয়ে বিশাল এক স্রোতস্বিনী নদী বয়ে গেছে। সে নদীর জোয়ার-ভাটার খেলায় অনেক কিছু বদলে গেছে। অনেক অনেক প্রাণবন্ত দ্বীপ ভেঙেচুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সেদিনকার সেই 'আমি'র অস্তিত্ব আজ আর নেই মিহির। ঐ আমির স্থলে আজ শুধু রাতের মেঘনার শো শো শব্দের মতো হাহাকার।"
"কিন্তু আমি যে আজ সব হারিয়ে নিঃস্ব! আমি এখন কি করব?"
"তুমি বরং এখন বাড়ি গিয়ে গরম কাপড় পরে কড়া করে এককাপ কফি খেয়ে ফ্রেশ একটা ঘুম দাও। দেখবে পরের সকালটায় সবকিছু বদলে গেছে।"
"আমি মরে যাবো ব্যস্।"
"মৃত্যু এত সহজ না মিহির।"
"তুমি একটা পাথর।"
"এটা সময়োপযোগী।"
"কিন্তু তোমাকে ছাড়া যে আমার চলবে না!"
"হাটের দোকানে লাভের ব্যবসা করেরে সন্ধ্যার চূড়ান্ত সীমানায় এসে সবসময়ই যে শেষের ট্রেনটা পেয়ে যাবে-এমন তো কোনো কথা নেই মিহির।"
হঠাৎ করেরে চারদিকে ছন্নছাড়া নীরবতা নেমে এলো। যেন ঝরা বৃষ্টিও টুপ করে গম্ভীর হয়ে গেল।
বৃষ্টি বাড়ছে।
সেই সাথে বেলাও।
"তুমি বাড়ি চলে যাও মিহির।"
মিহির কাঁদো কাঁদো গলায় বলল,"তোমাকে কি শেষবারের মতো একটাবার জড়িয়ে ধরতে পারি?"
"উহু,তুমি যে পুরোপুরি ভিজে গেছ,এখন আমাকে জড়িয়ে ধরলে আমিও যে ভিজে যাবো!"
দুচোখে ভীষণ অবাক হয়ে মিহির আমার দিকে তাকালো। এপর্যায়েয়ে আমিও তাকালাম ওর দিকে। একবারে চোখের দিকে। তারপর শীতল গলায় বললাম,"একটা সময় যখন শুকনো ছিলে তখন ছাতার নিচে এসে পাশাপাশি দাড়াতে বলেছিলাম। কিন্তু তুমি সাড়া দাও নি। সময়ের কাজ সময়ে করে নিতে হয় মিহির। ঘড়ির কাঁটা ঘুরতে ঘুরতে আগের জায়গায় ফিরে এলেও সময় কিন্তু কখনো আগের জায়গায় ফিরে আসে না। বরং বদলে যায় এবং বদলে যেতে থাকে। তুমি এখন আর আমাকে জড়িয়ে ধরতে পারো না।"
.
ভেবেছিলাম শেষোক্ত কথাগুলোর মর্মার্থ মিহির ধরতে পারবে না।
কিন্তু না।
সে আজ আমার প্রতিটি কথার অর্থ বর্ণে বর্ণে বুঝে গেছে।
তাইতো আর কোনো প্রত্যুত্তর করেনি। নিঃশব্দে হাটু গেড়ে মাটিতে বসে পড়ে দারুণ কান্নায় ভেঙে পড়ল।
.
আমি আর দাড়িয়ে থাকি নি। ঘুরে হাঁটা দিয়েছি বাড়ির পথে।
বৃষ্টি পড়ছে আগের মতোই।
আমি হাঁটছি আর ভাবছি।
যাওয়ার পথে রাজুর দোকান থেকে একটা বলপয়েন্ট কলম কিনে নিয়ে যেতে হবে। ট্রাঙ্ক থেকে আজ ডায়েরীটা বের করব।
অনেকদিন পর।
অনেকদিন পর আজ ডায়েরীতে আবেগের ঝর উঠবে। কেেউ কাঁদবে না,শুধু কলমের কালিগুলো লেপ্টে যাবে ডায়েরীর পাতায় পাতায়।
.
একটা সময় যাকে হৃদয় উজাগ করে ভালোবেসে স্রেফ বিক্রি হয়ে যেতে চেয়েছিলাম তার হাটে,সেই তাকেই আজ এতটা নিষ্ঠুরভাবে ফিরিয়ে দিলাম!
এমুহূর্তে যতটা পৈশাচিক আনন্দ পাবার কথা ছিল তার বিন্দুমাত্রও আমার মধ্যে খেলা করছে না। অনুভূতিরা আমার বড্ড নিথর আছে। সূর্যের প্রথম আলোয় প্রস্ফুটিত সত্যিকারের ভালবাসার গুরুত্ব যে দেয় নি তার পরিণতি এভাবেই চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়য়ে মাটিতে মিলিয়ে যাবে-এটাই স্বাভাবিক। এবং এ স্বাভাবিক ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছে আমার হৃদয়। তাইতো হৃদয়ের কোথাও হহৃদস্পন্দনের উত্থালপাথাল নেই। নেইই কোথাও উন্মত্ত হাহাকার।
শুধু বুকের বামপাশটায় কেমন যেন চিনচিনে ব্যথা হচ্ছে।
বোধ করি ওটাই ভালবাসার সর্বশেষ ধ্বংসাবশেষ।
এবং ঐ ভালবাসাটাই আমার প্রাণেরও সর্বশেষ ধ্বংসাবশেষ।
.
ভালো থেকো মিহির।
সত্যি বলছি,ডায়েরীর পাতায় পাতায় আজও শুধু তোমাকেই ভালবাসি....
.
. সবার কমেন্টে রিপ্লে দিতে সক্ষম নাও হতে পারি.... এরজন্য ক্ষমা করবেন...
..তখনটা ছিল খুব ভোর।
আকাশ কালো করে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে। জবাপাতার সবুজী অহংকারী বুকে বৃষ্টির ফোটারা ভেঙেচুড়ে একাকার হয়ে যাচ্ছে।
.
আমি দাড়িয়ে আছি একটি বেগুনী ছাতার নিচে।
আর আমার সামনে মেয়েটি।
ছাতার বাইরে। ঠোঁটগুলো তার মৃদু মৃদু কাঁপছে। এখন এই ঠোঁট কাপার কারণ কি বৃষ্টির শীতলতা নাকি বুকের ভেতরকার জমাট বাদা কান্নার উত্থালপাথাল ঢেউ-তা আমার এখনো পুরোপুরি বোধগম্য হচ্ছে না। আমি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললাম,"তুমি ছাতার নিচে আসো।"
মেয়েটি বললল,"তুমি কি অন্য কাউকে ভালবাসো?"
"না।"
"তাহলে?"
"ঐ ভালবাসা-বাসি আমার দ্বারা আর হবে না।"
"এতটা ঘৃণা করো আমায়!"
"তোমাকে ঘৃণা করার অনুভূতি আজ অব্দি আমার হাইপোথ্যালাম তৈরী করতে পারেনি।"
সে কতকটা আকূল হয়ে বলল,"তুমি তো এমন ছিলে না!"
আমি মুচকি হেসে জবাব দিলাম,"তুমিও তো এমন ছিলে না।"
"আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।"
"সম্ভবত আমিও।"
সে নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি তাাকিয়ে আছি নিচের দিকে,যেন তার দিকে তাকালেই বুকের ভেতর কিছু একটা হয়ে যাবে। আর আমি আরো একবার মরে যাবো।
"তুমি কি বুঝতে পারছো আমি কাঁদছি?"
"হুম।"
"এক সময়কার যে তুমি আমার চোখে-মুখে পড়ন্ত বিকেলের বিষণ্ণতা দেখলেই দিকবিদিক দিশেহারা হয়ে পড়তে সেই তোমারই সামনে আজ আমি কাঁদছি,আর তুমি কিনা...!"
"জানো কি মিহির,"একটা সময়কার সেই 'আমি' আর আজকের 'আমি'র মধ্য দিয়ে বিশাল এক স্রোতস্বিনী নদী বয়ে গেছে। সে নদীর জোয়ার-ভাটার খেলায় অনেক কিছু বদলে গেছে। অনেক অনেক প্রাণবন্ত দ্বীপ ভেঙেচুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সেদিনকার সেই 'আমি'র অস্তিত্ব আজ আর নেই মিহির। ঐ আমির স্থলে আজ শুধু রাতের মেঘনার শো শো শব্দের মতো হাহাকার।"
"কিন্তু আমি যে আজ সব হারিয়ে নিঃস্ব! আমি এখন কি করব?"
"তুমি বরং এখন বাড়ি গিয়ে গরম কাপড় পরে কড়া করে এককাপ কফি খেয়ে ফ্রেশ একটা ঘুম দাও। দেখবে পরের সকালটায় সবকিছু বদলে গেছে।"
"আমি মরে যাবো ব্যস্।"
"মৃত্যু এত সহজ না মিহির।"
"তুমি একটা পাথর।"
"এটা সময়োপযোগী।"
"কিন্তু তোমাকে ছাড়া যে আমার চলবে না!"
"হাটের দোকানে লাভের ব্যবসা করেরে সন্ধ্যার চূড়ান্ত সীমানায় এসে সবসময়ই যে শেষের ট্রেনটা পেয়ে যাবে-এমন তো কোনো কথা নেই মিহির।"
হঠাৎ করেরে চারদিকে ছন্নছাড়া নীরবতা নেমে এলো। যেন ঝরা বৃষ্টিও টুপ করে গম্ভীর হয়ে গেল।
বৃষ্টি বাড়ছে।
সেই সাথে বেলাও।
"তুমি বাড়ি চলে যাও মিহির।"
মিহির কাঁদো কাঁদো গলায় বলল,"তোমাকে কি শেষবারের মতো একটাবার জড়িয়ে ধরতে পারি?"
"উহু,তুমি যে পুরোপুরি ভিজে গেছ,এখন আমাকে জড়িয়ে ধরলে আমিও যে ভিজে যাবো!"
দুচোখে ভীষণ অবাক হয়ে মিহির আমার দিকে তাকালো। এপর্যায়েয়ে আমিও তাকালাম ওর দিকে। একবারে চোখের দিকে। তারপর শীতল গলায় বললাম,"একটা সময় যখন শুকনো ছিলে তখন ছাতার নিচে এসে পাশাপাশি দাড়াতে বলেছিলাম। কিন্তু তুমি সাড়া দাও নি। সময়ের কাজ সময়ে করে নিতে হয় মিহির। ঘড়ির কাঁটা ঘুরতে ঘুরতে আগের জায়গায় ফিরে এলেও সময় কিন্তু কখনো আগের জায়গায় ফিরে আসে না। বরং বদলে যায় এবং বদলে যেতে থাকে। তুমি এখন আর আমাকে জড়িয়ে ধরতে পারো না।"
.
ভেবেছিলাম শেষোক্ত কথাগুলোর মর্মার্থ মিহির ধরতে পারবে না।
কিন্তু না।
সে আজ আমার প্রতিটি কথার অর্থ বর্ণে বর্ণে বুঝে গেছে।
তাইতো আর কোনো প্রত্যুত্তর করেনি। নিঃশব্দে হাটু গেড়ে মাটিতে বসে পড়ে দারুণ কান্নায় ভেঙে পড়ল।
.
আমি আর দাড়িয়ে থাকি নি। ঘুরে হাঁটা দিয়েছি বাড়ির পথে।
বৃষ্টি পড়ছে আগের মতোই।
আমি হাঁটছি আর ভাবছি।
যাওয়ার পথে রাজুর দোকান থেকে একটা বলপয়েন্ট কলম কিনে নিয়ে যেতে হবে। ট্রাঙ্ক থেকে আজ ডায়েরীটা বের করব।
অনেকদিন পর।
অনেকদিন পর আজ ডায়েরীতে আবেগের ঝর উঠবে। কেেউ কাঁদবে না,শুধু কলমের কালিগুলো লেপ্টে যাবে ডায়েরীর পাতায় পাতায়।
.
একটা সময় যাকে হৃদয় উজাগ করে ভালোবেসে স্রেফ বিক্রি হয়ে যেতে চেয়েছিলাম তার হাটে,সেই তাকেই আজ এতটা নিষ্ঠুরভাবে ফিরিয়ে দিলাম!
এমুহূর্তে যতটা পৈশাচিক আনন্দ পাবার কথা ছিল তার বিন্দুমাত্রও আমার মধ্যে খেলা করছে না। অনুভূতিরা আমার বড্ড নিথর আছে। সূর্যের প্রথম আলোয় প্রস্ফুটিত সত্যিকারের ভালবাসার গুরুত্ব যে দেয় নি তার পরিণতি এভাবেই চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়য়ে মাটিতে মিলিয়ে যাবে-এটাই স্বাভাবিক। এবং এ স্বাভাবিক ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছে আমার হৃদয়। তাইতো হৃদয়ের কোথাও হহৃদস্পন্দনের উত্থালপাথাল নেই। নেইই কোথাও উন্মত্ত হাহাকার।
শুধু বুকের বামপাশটায় কেমন যেন চিনচিনে ব্যথা হচ্ছে।
বোধ করি ওটাই ভালবাসার সর্বশেষ ধ্বংসাবশেষ।
এবং ঐ ভালবাসাটাই আমার প্রাণেরও সর্বশেষ ধ্বংসাবশেষ।
.
ভালো থেকো মিহির।
সত্যি বলছি,ডায়েরীর পাতায় পাতায় আজও শুধু তোমাকেই ভালবাসি....
.
. সবার কমেন্টে রিপ্লে দিতে সক্ষম নাও হতে পারি.... এরজন্য ক্ষমা করবেন...
Saturday, January 6, 2018
এক ছেলে প্রতিদিন এক কলেজের সামনে
ভিক্ষার থালা হাতে দাঁড়িয়ে
থাকতো,,,,বয়স ২৮-৩০ হবে।সে প্রতিদিন
এসে একটা মেয়েকে বলতো,,,আপা দুইটা
টাকা দেন,,মেয়েটা টাকা দিয়ে
কলেজে ঢুকতো,,,,,,,এ ভাবে বেশ কয়েক
মাস চলে গেল।
একদিন ছেলেটি মেয়েটির জন্য
অপেক্ষা
করতে লাগলো,,,কিছুক্ষন পর মেয়েটি
আসলো,,,ছেলেটি মেয়েটিকে দেখে
বললো আপা আপনার সাথে কিছু কথা
বলতাম,,,এই শুনে মেয়েটি বললো আচ্ছা
বলেন,,,,
ছেলেটি তখন তার কাপাকাপা গলায়
বললো আমি আপনাকে পছন্দ করি,,,আর
আপনাকে অনেক ভালবাসি,,,যদি আপনী
কিছু বলতেন,,,এই কথা শুনে মেয়েটি
তার
উপর রেগে গিয়ে বললো তোমার তো
সাহস কম নয়,আপনী জানেন আমি
কে,আমার বাবা এই কলেজের
প্রিন্সিপাল,,যদি আপনাকে আর এই
কলেজের সামনে কোন দিন দেখি তো
বাবাকে বলে পুলিশে ধরিয়ে দেব।
ছেলেটি কিছু বললো না,,,তাই মাথা
নিছু
করে চলে গেল,,ছেলেটি আর কোন দিন
সেই কলেজের সামনে আসে নি।
একদিন মেয়েটি খুব অসুস্থ্য হয়ে
হাসপাতালে ভর্তি হলো,,,পরিক্ষা
করে
জানা গেল মেয়েটির পেটে টিউমার
ধরা পড়েছে,,আর এটা অপারেশন করতে খুব
রিক্স।তারপরো অঅপারেশন করতে হবে।
অপারেশন করা হলো এবং মেয়েটি
সুস্থ্য
হলো,,হাসপাতাল থেকে মেয়েটি
রিলিস নেওয়ার একদিন আগে এক নার্স
একটি কাগজ মেয়েটির হাতে ধরিয়ে
দিল,,,কাগজটিতে লেখা ছিল_আপনি এখন
সুস্থ্য যদি একটু কষ্ট করে তিন তলার ৭
নাম্বার ঘরে আসতেন,,,,মেয়েটি কিছু
বুঝতে পারলো না,কে দিল কেন দিল।
মেয়েটি আর কোন চিন্তা না করেই
সেই
ঘরে চলে গেল।
সেই ঘরে গিয়ে দেখলো সেই ছেলে
সেই
ভিক্ষার ছেড়া কাপড় পরে দাঁড়িয়ে
আছে,,মেয়েটি অবাক হয়ে বললো আপনি
আমাকে আসতে বলছেন,,ছেলেটি বললো
হ্যাঁ আমি,,,,,এই বলে ছেলেটি ভিক্ষার
কাপড়টা খুলে ফেললো,,ভিতরে ছিল
ডাক্তারের সেই সাদা পোশাক,,,তখন
ছেলেটা বলতে শুরু করলো,,তোমার
অপারেশন আমি নিজে করেছি,,
তুমি বলেছিলে না তোমার বাবা
কলেজের
প্রিন্সিপাল,,আর আমি হলাম এই
হাসপাতালের একজন বড় ডক্টর।আমার
কাজ
শুরু হয় বিকেলে,,,আর আমি প্রতিদিন
সকালে ভিক্ষার থালা হাতে তোমার
কলেজে দাঁড়িয়ে থাকতাম আর তুমি যখন
কলেজ থেকে চলে যেতে আমি তখন
হাসপাতালে এসে আমার কাজ
করতাম,,,,তোমার আমি অনেক আগেই
বলতে পারতাম কিন্তু তোমার মন কেমন
মানুষ চায় সেটা বঝতে পারতাম না,,,
তাই যখন বুঝতে পারলাম তোমার টাকা
ওয়ালা ছেলে পছন্দ তখন সরে
এলাম,,,,তোমাকে আর একটা কথা বলি
কিছু কিছু মানুষ আছে অভিনয় করতে
ভালবাসে,,,তাই কখনো মানুষের উপরটা
দেখে বিচার করো না,,,,,,এখন তার
অনেক
টাকা কিন্তু কাল দেখবে সে ভিক্ষার
থালা হাতে ঠিকি দাঁড়িয়ে
আছে,,,,,,আর
জীবনটা এ রকমেই,,,আজ আছে তো কাল
নেই...
Tuesday, September 26, 2017
Subscribe to:
Posts (Atom)