—হুমায়ূন আহমেদ
Tuesday, January 9, 2018
Monday, January 8, 2018
(ক) কারো মৃত্যুর খবর কানে পৌঁছার সাথে সাথে এই দু‘আ পড়বে: انا الله وانا اليه راجعون- (মুসলিম শরীফ-হাদীস নং-৯১৮)
অতঃপর কিছু সূরা ও দরূদ শরীফ পড়ে তার রুহের মাগফিরাতের জন্য অন্তরে অন্তরে দু‘আ করবে আর মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনরা নিম্নোক্ত দু‘আটিও পড়বেঃ
اللهم اجرنى فى مصيبتى واخلفنى خيرا منها
(মুসলিম শরীফ-হাদীস নং-৯১৮, মুসনাদে আহমদ-হাদীস নং-১৬৩৫০)
এবং বিরহ বেদনার উপর সবর করবে, কোনরূপ অধৈর্য প্রকাশ করবে না।
(খ) ইন্তিকাল হওয়া মাত্রই তার হাত-পা সোজা করে দিবে, উভয় পা ফিতা বা কাপড়ের টুকরা দ্বারা বেঁধে দিবে, চোখ-মুখ বন্ধ করে দিবে, মুখ সহজেই বন্ধ করা না গেলে বা বন্ধ না থাকলে থুতনি ও মুখ কোন কিছু দ্বারা বেঁধে দিবে এবং পেটে ভারী কিছু রেখে দিবে, যেমন হাওয়া ঢুকে পেট ফুলে না যায়। সম্পূর্ণ শরীর চাদর দ্বারা ঢেকে দিবে এবং তাকে আর মাটিতে বা ফ্লোরে রাখবে না, বরং কোন খাটিয়ার উপর রাখবে। (আদ্ দুররুল মুখতার-২/ ১৯৩)
(গ) মৃত ব্যক্তিকে খাটিয়ায় রাখার সময় এই দু‘আ পড়বে:
بسم الله وعلى ملت رسول الله-
অতঃপর এই দু‘আ পড়বে-
اللهم يسر عليه امره وسهل عليه ما بعده واسعده بلقائك واجعل ما خرج اليه خيرا مما خرج منه-
(ঘ) আর পার্শ্ববর্তী লোকজন বা আত্মীয়-স্বজনদের কর্তব্য হচ্ছে তারা মৃত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দেরকে সান্ত্বনা দিবে এবং তাদেরকে সবর করতে বলবে। বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দিলে তার বরাবর সওয়াব পাওয়া যায়। (ফাতাওয়ায়ে শামী, ২: ১৯৩ ও ৬: ২৬/ আহকামে মায়্যিত, ৩০-৩১, ৯৩, মুসনাদে আহমদ: ৫/ ২৭২)
(ঙ) ইন্তিকালের সাথে সাথে মৃত ব্যক্তির আত্মীয় বা অন্যরা তার মৃত্যুর খবর এ’লান/ ঘোষণা করে দিবে এবং কাফন-দাফনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে যাবতীয় কাজ তথা গোসল, কাফন, কবর খনন ইত্যাদি ভাগ করে নিবে এবং নিজেরা কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে পড়বে। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং ১৩১৫, আবু দাউদ শরীফ- হাদীস নং-৩১৫৯, ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/ ৮৩ মাকতাবায়ে যাকারিয়া)
# কিছু লোক মৃতকে গোসল দেয়ার জন্য বরই পাতা মিশ্রিত পানি গরম করে গোসলের সব রকম ব্যবস্থা সম্পন্ন করবে। আত্মীয়-স্বজনদের মধ্য থেকে যে বেশি দীনদার তার মাধ্যমে গোসল দেয়ানো ভাল। অন্য যে কোন মুসলমান ব্যক্তিও গোসল দিতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রী স্বামীকে গোসল দিতে পারে। তবে স্বামী স্ত্রীকে গোসল দিতে পারবে না। সুতরাং এরূপ অপারগতার ক্ষেত্রে স্বামী হাতে কাপড় পেঁচিয়ে স্ত্রীকে তায়াম্মুম করিয়ে দিবে। এ ক্ষেত্রে গোসলের প্রয়োজন নেই। গোসল এমন নির্জন স্থানে দিবে যেখানে অন্য লোকেরা ভিড় জমাবে না। (ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/ ৮৭, ৯০, ১৪৬- মাকতাবায়ে যাকারিয়া)
Sunday, January 7, 2018
Earth Sony by Michael Jackson
Michael Jackson
LYRICS
What about sunrise
What about rain
What about all the things that you said
We were to gain
What about killing fields
Is there a time
What about all the things
That you said were yours and mine
Did you ever stop to notice
All the blood we've shed before
Did you ever stop to notice
This crying Earth, these weeping shores
Aah, ooh
What have we done to the world
Look what we've done
What about all the peace
That you pledge your only son
What about flowering fields
Is there a time
What about all the dreams
That you said was yours and mine
Did you ever stop to notice
All the children dead from war
Did you ever stop to notice
This crying earth, these weeping shores
Aah, ooh
Aah, ooh
I used to dream
I used to glance beyond the stars
Now I don't know where we are
Although I know we've drifted far
Aah, ooh
Aah, ooh
Aah, ooh
Aah, ooh
Hey, what about yesterday
(What about us)
What about the seas
(What about us)
The heavens are falling down
(What about us)
I can't even breathe
(What about us)
What about apathy
(What about us)
Drowning in the seas
(What about us)
What about the promised land
Preachin' what I believe
(What about us)
What about the holy land
(What about it)
What about the greed
(What about us)
Where did we go wrong
Someone tell me why
(What about us)
What about baby boy
(What about him)
What about the days
(What about us)
What about all their joy
Do we give a damn
Aah, ooh
Aah, ooh
love Story
..তখনটা ছিল খুব ভোর।
আকাশ কালো করে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে। জবাপাতার সবুজী অহংকারী বুকে বৃষ্টির ফোটারা ভেঙেচুড়ে একাকার হয়ে যাচ্ছে।
.
আমি দাড়িয়ে আছি একটি বেগুনী ছাতার নিচে।
আর আমার সামনে মেয়েটি।
ছাতার বাইরে। ঠোঁটগুলো তার মৃদু মৃদু কাঁপছে। এখন এই ঠোঁট কাপার কারণ কি বৃষ্টির শীতলতা নাকি বুকের ভেতরকার জমাট বাদা কান্নার উত্থালপাথাল ঢেউ-তা আমার এখনো পুরোপুরি বোধগম্য হচ্ছে না। আমি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললাম,"তুমি ছাতার নিচে আসো।"
মেয়েটি বললল,"তুমি কি অন্য কাউকে ভালবাসো?"
"না।"
"তাহলে?"
"ঐ ভালবাসা-বাসি আমার দ্বারা আর হবে না।"
"এতটা ঘৃণা করো আমায়!"
"তোমাকে ঘৃণা করার অনুভূতি আজ অব্দি আমার হাইপোথ্যালাম তৈরী করতে পারেনি।"
সে কতকটা আকূল হয়ে বলল,"তুমি তো এমন ছিলে না!"
আমি মুচকি হেসে জবাব দিলাম,"তুমিও তো এমন ছিলে না।"
"আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।"
"সম্ভবত আমিও।"
সে নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি তাাকিয়ে আছি নিচের দিকে,যেন তার দিকে তাকালেই বুকের ভেতর কিছু একটা হয়ে যাবে। আর আমি আরো একবার মরে যাবো।
"তুমি কি বুঝতে পারছো আমি কাঁদছি?"
"হুম।"
"এক সময়কার যে তুমি আমার চোখে-মুখে পড়ন্ত বিকেলের বিষণ্ণতা দেখলেই দিকবিদিক দিশেহারা হয়ে পড়তে সেই তোমারই সামনে আজ আমি কাঁদছি,আর তুমি কিনা...!"
"জানো কি মিহির,"একটা সময়কার সেই 'আমি' আর আজকের 'আমি'র মধ্য দিয়ে বিশাল এক স্রোতস্বিনী নদী বয়ে গেছে। সে নদীর জোয়ার-ভাটার খেলায় অনেক কিছু বদলে গেছে। অনেক অনেক প্রাণবন্ত দ্বীপ ভেঙেচুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সেদিনকার সেই 'আমি'র অস্তিত্ব আজ আর নেই মিহির। ঐ আমির স্থলে আজ শুধু রাতের মেঘনার শো শো শব্দের মতো হাহাকার।"
"কিন্তু আমি যে আজ সব হারিয়ে নিঃস্ব! আমি এখন কি করব?"
"তুমি বরং এখন বাড়ি গিয়ে গরম কাপড় পরে কড়া করে এককাপ কফি খেয়ে ফ্রেশ একটা ঘুম দাও। দেখবে পরের সকালটায় সবকিছু বদলে গেছে।"
"আমি মরে যাবো ব্যস্।"
"মৃত্যু এত সহজ না মিহির।"
"তুমি একটা পাথর।"
"এটা সময়োপযোগী।"
"কিন্তু তোমাকে ছাড়া যে আমার চলবে না!"
"হাটের দোকানে লাভের ব্যবসা করেরে সন্ধ্যার চূড়ান্ত সীমানায় এসে সবসময়ই যে শেষের ট্রেনটা পেয়ে যাবে-এমন তো কোনো কথা নেই মিহির।"
হঠাৎ করেরে চারদিকে ছন্নছাড়া নীরবতা নেমে এলো। যেন ঝরা বৃষ্টিও টুপ করে গম্ভীর হয়ে গেল।
বৃষ্টি বাড়ছে।
সেই সাথে বেলাও।
"তুমি বাড়ি চলে যাও মিহির।"
মিহির কাঁদো কাঁদো গলায় বলল,"তোমাকে কি শেষবারের মতো একটাবার জড়িয়ে ধরতে পারি?"
"উহু,তুমি যে পুরোপুরি ভিজে গেছ,এখন আমাকে জড়িয়ে ধরলে আমিও যে ভিজে যাবো!"
দুচোখে ভীষণ অবাক হয়ে মিহির আমার দিকে তাকালো। এপর্যায়েয়ে আমিও তাকালাম ওর দিকে। একবারে চোখের দিকে। তারপর শীতল গলায় বললাম,"একটা সময় যখন শুকনো ছিলে তখন ছাতার নিচে এসে পাশাপাশি দাড়াতে বলেছিলাম। কিন্তু তুমি সাড়া দাও নি। সময়ের কাজ সময়ে করে নিতে হয় মিহির। ঘড়ির কাঁটা ঘুরতে ঘুরতে আগের জায়গায় ফিরে এলেও সময় কিন্তু কখনো আগের জায়গায় ফিরে আসে না। বরং বদলে যায় এবং বদলে যেতে থাকে। তুমি এখন আর আমাকে জড়িয়ে ধরতে পারো না।"
.
ভেবেছিলাম শেষোক্ত কথাগুলোর মর্মার্থ মিহির ধরতে পারবে না।
কিন্তু না।
সে আজ আমার প্রতিটি কথার অর্থ বর্ণে বর্ণে বুঝে গেছে।
তাইতো আর কোনো প্রত্যুত্তর করেনি। নিঃশব্দে হাটু গেড়ে মাটিতে বসে পড়ে দারুণ কান্নায় ভেঙে পড়ল।
.
আমি আর দাড়িয়ে থাকি নি। ঘুরে হাঁটা দিয়েছি বাড়ির পথে।
বৃষ্টি পড়ছে আগের মতোই।
আমি হাঁটছি আর ভাবছি।
যাওয়ার পথে রাজুর দোকান থেকে একটা বলপয়েন্ট কলম কিনে নিয়ে যেতে হবে। ট্রাঙ্ক থেকে আজ ডায়েরীটা বের করব।
অনেকদিন পর।
অনেকদিন পর আজ ডায়েরীতে আবেগের ঝর উঠবে। কেেউ কাঁদবে না,শুধু কলমের কালিগুলো লেপ্টে যাবে ডায়েরীর পাতায় পাতায়।
.
একটা সময় যাকে হৃদয় উজাগ করে ভালোবেসে স্রেফ বিক্রি হয়ে যেতে চেয়েছিলাম তার হাটে,সেই তাকেই আজ এতটা নিষ্ঠুরভাবে ফিরিয়ে দিলাম!
এমুহূর্তে যতটা পৈশাচিক আনন্দ পাবার কথা ছিল তার বিন্দুমাত্রও আমার মধ্যে খেলা করছে না। অনুভূতিরা আমার বড্ড নিথর আছে। সূর্যের প্রথম আলোয় প্রস্ফুটিত সত্যিকারের ভালবাসার গুরুত্ব যে দেয় নি তার পরিণতি এভাবেই চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়য়ে মাটিতে মিলিয়ে যাবে-এটাই স্বাভাবিক। এবং এ স্বাভাবিক ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছে আমার হৃদয়। তাইতো হৃদয়ের কোথাও হহৃদস্পন্দনের উত্থালপাথাল নেই। নেইই কোথাও উন্মত্ত হাহাকার।
শুধু বুকের বামপাশটায় কেমন যেন চিনচিনে ব্যথা হচ্ছে।
বোধ করি ওটাই ভালবাসার সর্বশেষ ধ্বংসাবশেষ।
এবং ঐ ভালবাসাটাই আমার প্রাণেরও সর্বশেষ ধ্বংসাবশেষ।
.
ভালো থেকো মিহির।
সত্যি বলছি,ডায়েরীর পাতায় পাতায় আজও শুধু তোমাকেই ভালবাসি....
.
. সবার কমেন্টে রিপ্লে দিতে সক্ষম নাও হতে পারি.... এরজন্য ক্ষমা করবেন...
..তখনটা ছিল খুব ভোর।
আকাশ কালো করে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে। জবাপাতার সবুজী অহংকারী বুকে বৃষ্টির ফোটারা ভেঙেচুড়ে একাকার হয়ে যাচ্ছে।
.
আমি দাড়িয়ে আছি একটি বেগুনী ছাতার নিচে।
আর আমার সামনে মেয়েটি।
ছাতার বাইরে। ঠোঁটগুলো তার মৃদু মৃদু কাঁপছে। এখন এই ঠোঁট কাপার কারণ কি বৃষ্টির শীতলতা নাকি বুকের ভেতরকার জমাট বাদা কান্নার উত্থালপাথাল ঢেউ-তা আমার এখনো পুরোপুরি বোধগম্য হচ্ছে না। আমি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললাম,"তুমি ছাতার নিচে আসো।"
মেয়েটি বললল,"তুমি কি অন্য কাউকে ভালবাসো?"
"না।"
"তাহলে?"
"ঐ ভালবাসা-বাসি আমার দ্বারা আর হবে না।"
"এতটা ঘৃণা করো আমায়!"
"তোমাকে ঘৃণা করার অনুভূতি আজ অব্দি আমার হাইপোথ্যালাম তৈরী করতে পারেনি।"
সে কতকটা আকূল হয়ে বলল,"তুমি তো এমন ছিলে না!"
আমি মুচকি হেসে জবাব দিলাম,"তুমিও তো এমন ছিলে না।"
"আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।"
"সম্ভবত আমিও।"
সে নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি তাাকিয়ে আছি নিচের দিকে,যেন তার দিকে তাকালেই বুকের ভেতর কিছু একটা হয়ে যাবে। আর আমি আরো একবার মরে যাবো।
"তুমি কি বুঝতে পারছো আমি কাঁদছি?"
"হুম।"
"এক সময়কার যে তুমি আমার চোখে-মুখে পড়ন্ত বিকেলের বিষণ্ণতা দেখলেই দিকবিদিক দিশেহারা হয়ে পড়তে সেই তোমারই সামনে আজ আমি কাঁদছি,আর তুমি কিনা...!"
"জানো কি মিহির,"একটা সময়কার সেই 'আমি' আর আজকের 'আমি'র মধ্য দিয়ে বিশাল এক স্রোতস্বিনী নদী বয়ে গেছে। সে নদীর জোয়ার-ভাটার খেলায় অনেক কিছু বদলে গেছে। অনেক অনেক প্রাণবন্ত দ্বীপ ভেঙেচুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সেদিনকার সেই 'আমি'র অস্তিত্ব আজ আর নেই মিহির। ঐ আমির স্থলে আজ শুধু রাতের মেঘনার শো শো শব্দের মতো হাহাকার।"
"কিন্তু আমি যে আজ সব হারিয়ে নিঃস্ব! আমি এখন কি করব?"
"তুমি বরং এখন বাড়ি গিয়ে গরম কাপড় পরে কড়া করে এককাপ কফি খেয়ে ফ্রেশ একটা ঘুম দাও। দেখবে পরের সকালটায় সবকিছু বদলে গেছে।"
"আমি মরে যাবো ব্যস্।"
"মৃত্যু এত সহজ না মিহির।"
"তুমি একটা পাথর।"
"এটা সময়োপযোগী।"
"কিন্তু তোমাকে ছাড়া যে আমার চলবে না!"
"হাটের দোকানে লাভের ব্যবসা করেরে সন্ধ্যার চূড়ান্ত সীমানায় এসে সবসময়ই যে শেষের ট্রেনটা পেয়ে যাবে-এমন তো কোনো কথা নেই মিহির।"
হঠাৎ করেরে চারদিকে ছন্নছাড়া নীরবতা নেমে এলো। যেন ঝরা বৃষ্টিও টুপ করে গম্ভীর হয়ে গেল।
বৃষ্টি বাড়ছে।
সেই সাথে বেলাও।
"তুমি বাড়ি চলে যাও মিহির।"
মিহির কাঁদো কাঁদো গলায় বলল,"তোমাকে কি শেষবারের মতো একটাবার জড়িয়ে ধরতে পারি?"
"উহু,তুমি যে পুরোপুরি ভিজে গেছ,এখন আমাকে জড়িয়ে ধরলে আমিও যে ভিজে যাবো!"
দুচোখে ভীষণ অবাক হয়ে মিহির আমার দিকে তাকালো। এপর্যায়েয়ে আমিও তাকালাম ওর দিকে। একবারে চোখের দিকে। তারপর শীতল গলায় বললাম,"একটা সময় যখন শুকনো ছিলে তখন ছাতার নিচে এসে পাশাপাশি দাড়াতে বলেছিলাম। কিন্তু তুমি সাড়া দাও নি। সময়ের কাজ সময়ে করে নিতে হয় মিহির। ঘড়ির কাঁটা ঘুরতে ঘুরতে আগের জায়গায় ফিরে এলেও সময় কিন্তু কখনো আগের জায়গায় ফিরে আসে না। বরং বদলে যায় এবং বদলে যেতে থাকে। তুমি এখন আর আমাকে জড়িয়ে ধরতে পারো না।"
.
ভেবেছিলাম শেষোক্ত কথাগুলোর মর্মার্থ মিহির ধরতে পারবে না।
কিন্তু না।
সে আজ আমার প্রতিটি কথার অর্থ বর্ণে বর্ণে বুঝে গেছে।
তাইতো আর কোনো প্রত্যুত্তর করেনি। নিঃশব্দে হাটু গেড়ে মাটিতে বসে পড়ে দারুণ কান্নায় ভেঙে পড়ল।
.
আমি আর দাড়িয়ে থাকি নি। ঘুরে হাঁটা দিয়েছি বাড়ির পথে।
বৃষ্টি পড়ছে আগের মতোই।
আমি হাঁটছি আর ভাবছি।
যাওয়ার পথে রাজুর দোকান থেকে একটা বলপয়েন্ট কলম কিনে নিয়ে যেতে হবে। ট্রাঙ্ক থেকে আজ ডায়েরীটা বের করব।
অনেকদিন পর।
অনেকদিন পর আজ ডায়েরীতে আবেগের ঝর উঠবে। কেেউ কাঁদবে না,শুধু কলমের কালিগুলো লেপ্টে যাবে ডায়েরীর পাতায় পাতায়।
.
একটা সময় যাকে হৃদয় উজাগ করে ভালোবেসে স্রেফ বিক্রি হয়ে যেতে চেয়েছিলাম তার হাটে,সেই তাকেই আজ এতটা নিষ্ঠুরভাবে ফিরিয়ে দিলাম!
এমুহূর্তে যতটা পৈশাচিক আনন্দ পাবার কথা ছিল তার বিন্দুমাত্রও আমার মধ্যে খেলা করছে না। অনুভূতিরা আমার বড্ড নিথর আছে। সূর্যের প্রথম আলোয় প্রস্ফুটিত সত্যিকারের ভালবাসার গুরুত্ব যে দেয় নি তার পরিণতি এভাবেই চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়য়ে মাটিতে মিলিয়ে যাবে-এটাই স্বাভাবিক। এবং এ স্বাভাবিক ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছে আমার হৃদয়। তাইতো হৃদয়ের কোথাও হহৃদস্পন্দনের উত্থালপাথাল নেই। নেইই কোথাও উন্মত্ত হাহাকার।
শুধু বুকের বামপাশটায় কেমন যেন চিনচিনে ব্যথা হচ্ছে।
বোধ করি ওটাই ভালবাসার সর্বশেষ ধ্বংসাবশেষ।
এবং ঐ ভালবাসাটাই আমার প্রাণেরও সর্বশেষ ধ্বংসাবশেষ।
.
ভালো থেকো মিহির।
সত্যি বলছি,ডায়েরীর পাতায় পাতায় আজও শুধু তোমাকেই ভালবাসি....
.
. সবার কমেন্টে রিপ্লে দিতে সক্ষম নাও হতে পারি.... এরজন্য ক্ষমা করবেন...
Subscribe to:
Posts (Atom)